বাংলাদেশি এক সাংবাদিক মৃত্যুর পর মুখোমুখি হলেন খোদার, সামনে বিরাট পর্দা, দূর থেকে শুধু কন্ঠ আর আলো ভেসে আসে।
সাংবাদিক বললেন: ইয়া খোদা , আপনি পরম দয়ালু আর সর্ব জ্ঞানে জ্ঞানি। তবুও জানতে চাই: পুরো পৃথিবীর সব কাজ আপনি কিভাবে করেন? একসাথে এতকিছু সামলানো তো চাট্টিখানি কথা নয়।
খোদা বলেন : আমার এখানে সব কয়টা দেশের জন্য একটা করে সিসিটিভি স্ক্রীন ৱয়েছে, আমি তাতেই সব দেখতে পাই। চ্যানেল চ্যান্জ করতে হলে আমি ইন্টারকমে কল দিই অথবা ওয়াকি টয়াকিতে কল দিই।
সাংবাদিক বললেন: কিন্তু এতগুলো স্ক্রিন একসাথে দেখা কি কষ্টকর নয়?
খোদা জবাব দিলেন: হ্যাঁ , তা তো বটেই। আমি এরজন্য কিছু স্ক্রিন কযেকজনকে ভাগ করে দিয়েছি। ঐ দেশগুলোর অপারেশন থেকে শুরু করে সব ডিপার্টমেন্টেই আলাদা আলাদা ফেরেশতা রাখা আছে। ওরা সব দেখা-শোনা করে, আমাকে এজিএমে নোটিফাই করে দায়।
সাংবাদিককে এবার একটু আশান্বিত দেখা গেল। সে বলল: ইয়া খোদা, বাংলাদেশের স্ক্রিনে কী দেখা যাচ্ছে? অনেকদিন হল মৃত্যু হয়েছে আমার, দেশের খবর টবর নেয়া হয় নাই।
খোদা বাংলাদেশের স্ক্রীন চেইক করার জন্য ওয়াকি টয়াকিতে যেন কাকে কী ওর্ডার দিলেন,খবর নিলেন পরিস্থিতির। বললেন : সাংবাদিক সাহেব,পরিস্থিতি ভাল, বাংলাদেশে লকডাউন চলতেছে, রাস্তাঘাট খালি, এই দেখো স্ক্রিন; বলে ; খোদা সাংবাদিককে স্ক্রীনে মতিঝিল আর মিরপুর দেখালেন , পুরা ঢাকায় লকডাউন, রাস্তা শুনশান, ভ্যাজাল নাই।
সাংবাদিক এইবার তৃপ্তির হাসি দিয়ে ওয়েটিং চেয়ারে বসলেন। পাশে ক্লিন শেইভ্ড এক ভদ্রলোক বসলেন। সাংবাদিকের দিকে চেয়ে মুচকি হাসলেন। সাংবাদিক সাহেব পাশে বসা ভদ্রলোকের পরিচয় জানতে চাইলেন।
ক্লিন শেইভ্ড ভদ্রলোক : আমি একজন আইটি এক্সপার্ট, এই মহা জাগতিকের পুরো সার্ভার হ্যাক করার জন্য আমার আজীবন সাঁজা হয়েছে।
সাংবাদিক অবাক হয়ে বললেন: তাহলে এখানে আপনি কী করছেন?
ভদ্রলোক বললেন: এখানে বসে আমি তামশা দেখি। এই দেখেন , আজ থেকে ঊনপন্চাশ বছর আগে বাংলাদেশের স্ক্রীন হ্যাক করছি, এখনও কারো কোন খবর হয় নাই।
…………………………………………………………………
– অন্ধ যারা তাদের হাতে ভার, সবার বিধান বাঁচাবার –